[ad_1]
ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে নজিরবিহীন অস্থিরতা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এসআলমের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন নিয়োগ পাওয়া পাঁচ হাজার ৩৮৫ জন কর্মীর মূল্যায়ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এই অস্থিরতা শুরু হয়। চাকরিবিধি ভঙ্গ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৪ হাজার ৯৭১ জন কর্মীকে ওএসডি (অন সার্ভিস ডিউটি) করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এস আলমের আমলে চাকরির পরীক্ষা না দিয়েই শুধু সিভি জমা দিয়ে ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁরা।
ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের মোট ২২ হাজার কর্মীর মধ্যে এখন অর্ধেকই চট্টগ্রামের লোক। কিন্তু ২০১৭ সালে যখন এস আলম মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যাংক দখল করেছিল তখন ব্যাংকের কর্মী সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের মতো। এর পর থেকে অযোগ্য লোক নিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে ধ্বংস করা হয়েছে।
এখন আমরা ব্যাংকের স্বার্থেই যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। এই পরীক্ষায় যাঁরা অংশগ্রহণ করেননি তাঁদের ওএসডি এবং যাঁরা চাকরি বিধিমালা অমান্য করে ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপকে গালাগালি করেছে বা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, তাঁদের টারমিনেট (চাকরিচ্যুত) করা হয়েছে।’ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শনিবার। পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁরা গত রবিবার নিয়মিত অফিসও করেছেন।
তবে মোট পাঁচ হাজার ৩৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে চার হাজার ৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নেননি। পরদিন (রবিবার) কর্মস্থলে উপস্থিত হন, তাঁদের কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে এস আলম গ্রুপ প্রভাব খাটিয়ে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং বিশেষ ব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়।
ওএসডি হওয়া একাধিক কর্মকর্তার দাবি, এক মাস আগে তাদের রিট আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট নিয়মিত প্রমোশনাল পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ব্যাংক সেই আদেশ অমান্য করে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, যা বেআইনি। আগের সরকারের সময়ে নিয়োগ হয়েছে বলেই তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। তারা আবার আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
[ad_2]
https://slotbet.online/