[ad_1]
রাতে নয়, এবারের ভোট দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এবার ভোট হবে দিনের বেলায়, রাতের অন্ধকারে নয়। নির্বাচনের পর নতুন সরকারকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তিনি নিজ দায়িত্ব শেষ করবেন বলেও জানান।
বুধবার সকালে রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ২৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্রজনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে ৫৪ বছর পর একটি সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না, বরং ঐক্যবদ্ধভাবে তা কাজে লাগাতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঐক্যই শক্তি আর সেই শক্তিই শান্তির পথ খুলে দেয়।
মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আধুনিকতার নামে মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূল লক্ষ্য থেকে সরিয়ে ফেলা ঠিক নয়। কোরআন, হাদিস ও ফেকাহ মাদ্রাসা শিক্ষার মূলভিত্তি, আর সেটিকে ধরে রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা যেমন জরুরি, তেমনি ঐতিহ্যকেও অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। আরবি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃত্তি অর্জন করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে ছাত্র রাজনীতির নামে অপকর্ম বন্ধ করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে, যা পূরণের জন্য সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অপশক্তির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তবে সরকার ইতোমধ্যেই শিক্ষা বোর্ডে সংস্কার এনেছে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা অতীতে সাংবাদিকতা, শিক্ষা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অবদান রেখেছে। তবে কিছু সময় এখানে জঙ্গিবাদের নাটক সাজানো হয়েছিল এবং শাপলা চত্বরে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।
অধ্যাপক সি আর আবরার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কেবল ধর্মীয় জ্ঞানে সীমাবদ্ধ না থেকে বিজ্ঞান শিক্ষায়ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও জানান, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার জমি ও মাঠের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষক সংকট নিরসন, নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
[ad_2]
https://slotbet.online/