[ad_1]
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে অচলাবস্থার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতা ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে এবং দোকানপাট খুলেছে। তবে জেলা সদর, পৌরসভা ও গুইমারায় এখনও ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
এর আগে জুম্ম ছাত্র-জনতা মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তারা দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান ও প্রশাসনের আট দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে এটি করেছে। অবরোধ স্থগিত হওয়ার পর খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। অনেক মানুষ দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি থেকে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। শহরে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে এবং পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
১৪৪ ধারা বলবৎ থাকায় জেলা ও গুইমারায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও প্রবেশপথে বসানো চেকপোস্টে এখনও নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী জানান, “ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে এবং যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাসান মারুফ বলেন, “১৪৪ ধারা জারি থাকলেও শারদীয় দুর্গোৎসবের কারণে মানুষের যাতায়াতকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে না। পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিগগিরই ধারা তুলে নেওয়া হতে পারে।”
এর আগে রোববার গুইমারায় ১৪৪ ধারার মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন পাহাড়ি যুবক নিহত হয়। এ সময় সেনাসদস্য ও পুলিশের কয়েকজন আহত হন।
এছাড়া খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় মারমা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গুইমারায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ঘটনায় দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে।
[ad_2]
https://slotbet.online/